চালু হয়নি আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এক বছরেও

চালু হয়নি আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এক বছরেও,ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনটি চালু না হওয়ায় উপজেলাবাসীর কোনো কাজে আসছে না। গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে ভবনটি ফায়ার সার্ভিসকে হস্তান্তর করে গণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু নতুন এ স্টেশনের জন্য জনবল ও প্রয়োজনীয় গাড়ি বরাদ্দ না দেওয়ায় আজও চালু করা সম্ভব হয়নি।

 

চালু হয়নি আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এক বছরেও

 

চালু হয়নি আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এক বছরেও

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনটির নির্মাণ ব্যয় হয় ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা। ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের গণপূর্ত বিভাগ ফায়ার সার্ভিসকে ভবনটি হস্তান্তর করে। তারপর থেকেই পড়ে আছে ভবনটি। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রাংশ এবং পানি বহনকারী গাড়ি ও প্রয়োজনীয় জনবল না থাকার কারণে চালু ও উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি।

আলফাডাঙ্গা উপজেলার আয়তন প্রায় ১৩৬ বর্গ কিলোমিটার। আলফাডাঙ্গা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। এসব এলাকায় গত এক বছরে অন্তত শতাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা। আগুনে পুড়ে মারা গেছে গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগি। ছাই হয়ে গেছে সঞ্চিত অর্থ, ধান, চাল, আসবাবপত্র। এ অবস্থায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনটি চালুর দাবি জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।

কলেজছাত্র আমজাদ হোসেন বলেন, বছরখানেক আগে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হলেও কার্যক্রম শুরু হয়নি আজও। ফায়ার স্টেশনটিতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রাংশ, পানি বহনকারী গাড়ি ও প্রয়োজনীয় জনবল নেই।

বুড়াইচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব পান্নু  বলেন, এটা উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা। বছরখানেক ধরে ভবন দেখে দেখে দিনরাত পার হলেও কবে উদ্বোধন হবে তা কে জানে? ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি দ্রুত চালুর দাবি জানাই।

পৌরসভার বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান কচি বলেন, ‘বছরখানেকের বেশি সময় ধরে দেখে আসছি ভবনটি নির্মাণের পর অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ৪-৫ জন ফায়ার সার্ভিসের লোক আছেন তারা শুধু পাহারা দেন কিন্তুু কোনো কার্যক্রম নেই। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে আসতে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার আসলাম হোসেন খন্দকার বলেন, ‘আমরা বর্তমানে চারজন স্টাফ দায়িত্বে রয়েছি। খাওয়া-দাওয়ার কষ্ট আছে। কোনো কাজকর্ম নেই। অলস সময় পার করছি। এটি কেন চালু হচ্ছে না সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারবেন।’

উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান  বলেন, জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। তবে কোনো ফল হয়নি। কবে চালু হবে তাও জানা নেই।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক বলেন, জনবল, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রাংশ এবং পানি বহনকারী গাড়ি না থাকার কারণে এটি চালু করা যাচ্ছে না। এ সমস্যার সমাধান হলে চালু করা সম্ভব। তবে কবে চালু হবে তা বলা সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে ফরিদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন, গতবছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ফায়ার সার্ভিসকে ভবনটি হস্তান্তর করে দিয়েছি। এখন সবকিছুর দায়িত্ব ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমি কয়েকমাস হলো এখানে যোগদান করেছি। যতটুকু জেনেছি ওখানে লোকবল, অগ্নিনির্বাপণক যন্ত্রাংশ এবং গাড়ির অভাবে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি চালু করা হয়নি। লোকবল নিয়োগ দেওয়ার পর চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে কত সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি চালু হবে তা বলা সম্ভব নয়।

 

চালু হয়নি আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এক বছরেও

 

আরও পড়ুন:

১ thought on “চালু হয়নি আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এক বছরেও”

Leave a Comment