পুলিশ কনস্টেবল আটক সহকর্মীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া,ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পৌরসদরে পরকীয়ার অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করেছে গ্রামবাসী। পরে তাকে থানা পুলিশের হাতে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কনস্টেবল আটক সহকর্মীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া
শনিবার সকাল ১০টার দিকে বোয়ালমারী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কুশডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহিম আলী (৩৫) বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা রানিহাটি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি আরেক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী তার বাবার বাড়ি বোয়ালমারী পৌরসভার কুশডাঙ্গা গ্রামে থাকতেন। তার বাবাও পুলিশে চাকরি করতেন। পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহিম আলী প্রায়ই বোয়ালমারী পৌরসভার কুশডাঙ্গা গ্রামে ওই নারীর বাবার বাড়িতে আসতেন। গত চারদিন ধরেই তিনি ওই নারীর বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ওই নারীর স্বামীকে খবর দেন। তিনি এসে তাদের আটক করেন। পরে গ্রামবাসী ও স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরের মাধ্যমে তাকে থানা পুলিশে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেন, আটক কনস্টেবল প্রায়ই ওই নারীর বাবার বাড়িতে আসতেন। শনিবার সকালে ওই নারীর স্বামী ও গ্রামবাসী মিলে তাদের দুজনকে আটক করে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ওই নারীর স্বামী পুলিশের কনস্টেবল। অভিযুক্ত ইব্রাহিম আগে র্যাবে ছিলেন। আটকের সময়ও তিনি নিজেকে র্যাব সদস্য পরিচয় দেন। পরে জানতে পারি তিনি এখন র্যাবে না পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন।
তিনি আরও বলেন, আটক কনস্টেবলের সঙ্গে আরেক কনস্টেবলের স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ফরিদপুর র্যাব-৮ এর সার্জেন্ট ইব্রাহিম বলেন, ওই ব্যক্তি এখন র্যাব সদস্য নয়। তবে তিনি এক সময় র্যাবে চাকরি করতেন কিন্তু এখন তিনি পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।
১ thought on “পুলিশ কনস্টেবল আটক সহকর্মীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া”